সেদিন ও সে [পর্ব-১০]

সূর্য ওঠার অনেক আগেই পেখমের ঘুম ভেঙে যায়। তার কপালে হালকা ঘাম, সাথে শরীর এতো নরম লাগছে যেন মনে হচ্ছে কবছর জ্বরে হুশ ছিলো না অনায়াসে; এদিকে বুকটাও কেমন ধকধক…

সেদিন ও সে [পর্ব-৮ & ৯]

পেখম বিকেলবেলা কটেজ থেকে বেরিয়ে সাজেকের পথ ধরল। পায়ের নিচে ভেজা মাটি, মাথার উপর মেঘে ঢাকা আকাশ, আর মিষ্টি পাহাড়ি হাওয়া। পেখম এখানে কিছুই চেনে না তাই কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে…

সেদিন ও সে [পর্ব-০৭]

পেখম এখনো বিছানায় স্তব্ধের মতো বসে আছে। নওশিরের মাঝে তেমন কোনো হেলদোল নেই। সেও পেখমের দিকে তাকিয়ে আছে নীরব দৃষ্টিতে। পেখম ঢোক গিলল তারপর বলল, ‘বললেন না তো বাংলাদেশে এলেন…

সেদিন ও সে [পর্ব-০৬]

এই পাহাড়টা আমার কবর হতে পারত… এখন এটাকেই আশ্রয় বানাতে চাই।” পেখম জানে সে পাখি ছিল। উড়তে পারত, স্বপ্ন দেখত। অথচ এখন জীবনটা যেন ঘরবন্দি এক খাঁচার গল্প, যেখানে প্রতিটি…

সেদিন ও সে [পর্ব-০৫]

সেদিনের পর সাতেক-বাদে পেখমকে বাসায় আনা হয়েছে। পেখম কারো সাথে কথা বলছে না, এমনকি পল্লবী বেগমের সাথেও না। সৌজন্য পেখমের সামনে আসেনি। তবে পেখমের অবস্থা আগের থেকে উন্নতি দেখার সাথে…

সেদিন ও সে [পর্ব-০৪]

নিজের বক্তব্য টুকু শেষ করে সৌজন্যের দিকে তাকাল সৌজন্যের খালা। সৌজন্য লজ্জিত ভঙ্গিতে মাথা নিচু করে আছে। খালার কথা শুনে কিছু বলার আগেই সৌজন্যের গালে একটা শক্ত চড় পড়ে। অবাক…

সেদিন ও সে [পর্ব-০৩]

সৌজন্যের মা এসেছে একটু আগে। সাথে তার খালাও। পেখমের মা হসপিটালের করিডোর থেকে দৌড়ে ঢুকলও কেবল। এসেই সৌজন্যের হাত ধরে বলল, “আমার মেয়ে কই বাবা? কিভাবে হল? তুমি কি খেয়াল…

সেদিন ও সে [পর্ব-০২]

পেখম? এই পলক? এই মেয়ে, তাকা আমার দিকে, কি হয়েছে তোর? কথা বল।”জবাব এলো না! ভয়ে হাত পা কেঁপে উঠল সৌজন্যের। গলা শুকিয়ে আসছে সাথে। এলোমেলো মস্তিষ্ক নিয়ে পেখমের হাত…

সেদিন ও সে [পর্ব-০১]  

মাঝরাতে যখন টের পেলাম সৌজন্য পরকীয়ায় জড়িত, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেদিন সন্ধ্যায়-ই আমি জানতে পারি আমি প্রেগন্যান্ট। সৌজন্য বাসায় এসেই নিজের ক্লান্তি দেখিয়ে ঘুমিয়ে গেছে বিধায় তাকে আর কিছুই বলা…