বৃষ্টি হয়ে নামো [পর্ব-৩৬]

তিনটা পর্বত পার হওয়ার পর ওরা শীষা পর্বত বা নকল পর্বত নামক একটা সুন্দর জায়গায় এসে পৌঁছায়।সেই দৃশ্য, সেই সৌন্দর্য বর্ণনা করার মতো শব্দ ভাষার ভান্ডারে মজুদ নেই।ধারা,বিভোর মুগ্ধ নয়নে চারপাশে চোখ বুলায়।বুকে শীতল স্রোত বইছে।শরীরের পশম কাঁটা কাঁটা হয়ে আসে।বিভোর এক হাতে ধারাকে বাহুডোরে টেনে নিয়ে বললো,

— “জীবনের পুরোটা সময় এই মুহূর্তে যদি আটকে যেতো।”

ধারা হাসলো।সেকেন্ড কয়েক পর বললো,

— “সত্যি যদিই সম্ভব হতো।”

এরিমধ্যে আনা,গারেতসহ আরেকজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোক আসেন।পাঁচজনে নির্দিষ্ট এক জায়গায় বসে শুকনো খাবার খেয়ে আবার রওনা দেয়।লোকটি পথিমধ্যে বিভোরকে বললো,

— “কোথা থেকে এসেছেন ?”

— “বাংলাদেশ।”

— “আমি ফজলুল হাসান।আপনার?”

— “আমি মাহতাব বিভোর।”

— “তখন পরিচয় পর্ব হলো কিন্তু নিমিষেই ভুলে গিয়েছি কার নাম কি ছিল।তাই আবার জিজ্ঞাসা করা।”

বিভোর হাসলো।আরো এক কিলোমিটার হেঁটে শীষা পর্বত পেরিয়ে ওরা জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।আকস্মিক সাপ দেখে আনা চিৎকার করে উঠে।গারেতের আগে বিভোর দৌড়ে এসে সাপটা সরিয়ে দেয়।আনা কিছুটা কাঁপছে।সে সাপ খুব ভয় পায়।অসাবধানে পা পড়ে যায় সাপের লেজে।আর তখনি সাপটা তেড়ে আসে।বিভোরকে ধন্যবাদ দিয়ে এক ঢোক পানি পান করলো।

জঙ্গল পেরিয়ে ওরা পথরোধ করে ৮০ ডিগ্রি খাড়াই দেখলো।পায়ে সবার ট্রেকিং শু ছিল।বিধায় পাঁচজনই পাথরের খাঁজে খাঁজে পা রেখে উপরে চলে আসে।উপরে ওঠাটা ধারার জন্য ভয়ংকর ছিল।মনে হচ্ছিলো এই বুঝি পড়ে যাবে।খাড়াই শেষে পৌঁছে যায় কুমার পর্বতের চূড়ায়।পাঁচজন একইসাথে চিৎকার করে উঠে খুশিতে।ধারা খুশিতে বিভোরের গলা জড়িয়ে ধরে।বিভোর বললো,

— “পাগলি।”

ধারা হেসে মাথা নত করে।আবার তাকায় বিভোরের চোখের দিকে।ধারা হাসলে চোখ হাসে।বিভোর চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,

— “হাসিটা দামী।”

ত্রিশ মিনিটের মধ্যে বাকি চৌদ্দ জন কুমার পর্বতের চূড়ায় চলে আসে।দুজন সামান্য আহত হয়েছে।স্পোর্টস শু এর জন্য।তখন বাজে চারটা।সমতল জায়গা খুঁজে তাঁবু টানিয়ে নেয় সবাই।যে যার মতো খেঁজুর,বিস্কুট খেয়ে একসাথে গোল হয়ে বসে খালি জায়গায়।ট্রেক গাইড সঞ্জয় রায় বলেন,

— “রাতে বার-বি-কিউ পার্টি হলে বেশ হতো।”

ফজলুল বললো,

— “মুরগি কই পাবো ভাইয়া?প্ল্যান আগে করা হলে নিয়ে আসতাম।”

সঞ্জয় রায় কপাল কুঁচকে ফেলেন।গারেত ইতস্তত হয়ে বললো,

— “পাখি সবাই খান?তাহলে আমার বোন আনা ব্যবস্থা করতে পারবে।”

সবাই কৌতূহলী চোখে তাকায়।আনা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।রঞ্জয় নামে একজন বললো,

— “কীভাবে ব্যবস্থা করবে?”

গারেত একবার আনার দিকে তাকায়।তারপর বললো,

— “আনা পাখি শিকার করতে জানে।ওর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়না কখনো।রাইফেল নিয়ে এসেছে সাথে।আপনারা চাইলে……

সঞ্জয় রায় গমগম করে বলে উঠেন,

— ” বাহ! বেশ তো।আনা তুমি পাখি শিকারে লেগে যাও।”

আনা একবার কড়াচোখে ভাইয়ের দিকে তাকায়।এরপর ব্যাগ থেকে রাইফেল নিয়ে আসে।সবাই উৎসুক হয়ে তাকায়।সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্ত হওয়ায় পাখিদের আনা-গোনা বেশি।ধারা ইশারায় একটা পাখি দেখায় আনাকে।পাখিটি অনেক দূরে এবং গাছের চিপায়।আনা রাইফেল তাক করে।কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে গুলি ছুঁড়ে।সাথে সাথে পাখিটি আহত হয়ে নিচে পড়ে।সবাই হুররেএ বলে উল্লাস করে উঠলো।এক এক করে বিশটা পাখি শিকার করে আনা।সবাই হতবাক।একবারো নিশানা ব্যর্থ হয়নি।যখন যে পাখির দিকে রাইফেল তাক করেছে সেই পাখিকেই আহত হয়ে মাটিতে পড়তে হয়েছে।

সন্ধ্যা নেমেছে বেশ ক্ষণ পার হলো।অনেক্ষণ যাবৎ বিভোর আর আনা গল্প করছে।কথা হচ্ছে পাখি শিকার নিয়ে।এতো নিখুঁত নিশানা কীভাবে সম্ভব।ধারা কাপড় চেঞ্জ করে তাঁবু থেকে তীক্ষ্ণ চোখে বিভোর আর আনাকে দেখছে।বিভোর কথা শেষ করে তাঁবুতে আসে।ধারা অন্যদিকে তাকায়।বিভোর পাশে বসতেই ধারা বললো,

— “আনা খুব গুণী তাইনা?”

বিভোর হেসে স্বাভাবিক স্বরে বললো,

— “খুব কিনা জানিনা।তবে একটা অসাধারণ গুণ আছে।”

মুহূর্তে ধারার মাথায় বাজ পড়লো।কড়া কন্ঠে বললো,

— “তুমি ওরে কি ডাকো?”

বিভোর থতমত খেয়ে যায়।

— “আনা।”

— “আর আনা ডাকবানা।বোন ডাকবা।ও তোমার ধর্মের বোন।এখনি বোন বানাবা।চলো।”

— “ধর্মের বোন কীভাবে ও তো খ্রিষ্টান।”

ধারা মুখটা ভারী ইনোসেন্ট বানিয়ে বললো,

— “ওহ তাই তো।”

তারপরই গমগম করে বলে উঠলো।

— “শুধু বোন পাতাবা।আমার সামনে।”

বিভোর শুয়ে পড়ে।বললো,

— “বউ নামক প্রাণীরা এই দিক দিয়ে একরকম।”

ধারা আর রা করলোনা।চুপ করে বসে আছে।বিভোর উঠে বসে।ধারার কাঁধে থুতনি রেখে বললো,

— “কি হইছে বউটার?”

ধারা বিভোরের বাঁধন থেকে ছুটে বেরিয়ে আসে বাইরে।বিভোর হেসে সামনের কয়টা চুল টানে।এরপর বেরিয়ে আসে।তেরটা তাঁবু টানানো পুরোটা জায়গা জুড়ে।তাঁবু ঘিরে আগুন জ্বালানো।বার-বি-কিউ পার্টির আয়োজন চলছে।রঞ্জয় নামে লোকটা ট্রেক গাইড সঞ্জয় রায়ের আপন ভাই।তিনিই রান্নার আয়োজনে বেশি ভূমিকা রাখছেন।

বিভোর ধারার পাশ ঘেঁষে দাঁড়ায়।এরপর বললো,

— “আনা আমাকে ভাইয়া ডাকে।”

— “ভাইয়া সব মেয়েই ডাকে প্রেমের পূর্বে প্রেমিককে।”

— “এতো দূর!আচ্ছা বোন পাতাতে যাচ্ছি।”

বিভোর ঘুরে দাঁড়ায় যেতে।ধারা হাতে ধরে আটকায়।বিভোর ভ্রু উঁচিয়ে বললো,

— “কি?”

— “যেতে হবেনা।”

রাত তখন নয়টা কি দশটা হবে।বার-বি-কিউ পার্টি শেষ।খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন।নতুন করে আগুন জ্বালিয়ে সবাই আড্ডা দিতে রাউন্ড হয়ে বসেছে।শুরুতে প্রিয়া নামের হিন্দু মেয়েটি গান গায়।ধারা মুগ্ধ হয়ে বললো,

— “কি সুন্দর কন্ঠ তাইনা?”

বিভোর আলগা স্বরে বললো,

— “মনে হয়।”

— “মনে হয় কি? এতো সুন্দর কন্ঠ আর প্রশংসা করছোনা।মেয়েটির প্রশংসা প্রাপ্য।”

— “আচ্ছা আচ্ছা।দারুণ কন্ঠ।”

ধারা গাল ফুলিয়ে বিভোরের দিকে তাকায়।বিভোর ঠোঁটে টিপে হেসে ধারাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে।

রাতের প্রথম প্রহরে সঞ্জয় রায় এবং আরো দুজন পাহারা দিবে বলে কথা হয়।বাকিরা তাঁবুতে গিয়ে শুয়ে পড়ে।বিভোরের ঘুম পাচ্ছেনা।অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে পারেনা সে।ধারা যেহেতু আছে এমন একটা জায়গায় কিছুতেই ঘুমানো যাবেনা।ধারা ঘুমে বিভোর।সঞ্জয় রায় বেশ খানিক ধরে আশ-পাশ থেকে পায়ের শব্দ পাচ্ছেন।বিপদ খুব নিকটে।পাহাড়ি জংলী, ডাকাত খুবই সাংঘাতিক।এদের মানুষ মারতে হাত কাঁপেনা।বিভোরও টের পাচ্ছে শব্দ।তাঁবু থেকে উঁকি দেয়।দূরের অন্ধকার জায়গায় চোখ পড়ে।কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে মনে হলো।বিভোর ‘কে’ বলে চেঁচিয়ে উঠলো।সাথে সাথে অন্ধকারের ঝোঁপ-ঝাঁড় আওয়াজ করে উঠে।দৌড়ে পালিয়েছে কেউ।সঞ্জয় রায় দৌড়ে আসেন।বিভোর বলে,

— “আমাদের চারপাশে বিপদ।নজর রাখছে অনেকগুলা চোখ।’

সঞ্জয় বলেন,

— “আমারো তাই মনে হচ্ছে।”

বিভোর দু’হাতে দুইটা ছুরি নিয়ে বললো,

— “ওদিকটায় চলুন।”

সাবধানী পায়ে এগুতে থাকে দুজন।আকস্মিক মুখের উপর কিছু একটা পড়ে।বিভোর আৎকে উঠে সরে যায়।শুকনো পাতা পড়েছে!আশ-পাশের পায়ের শব্দের তীব্রতা বেড়ে যায়।সঞ্জয় রায় বিভোরকে নিয়ে বাকি দুজনের কাছে এসে বললো,

— “সবাইকে ডেকে তুলুন।ঘুমন্ত মানুষ ডাকাতদের দূর্বলতা।”

বিভোর দ্রুত তাঁবুতে এসে ধারাকে ডাকে।ধারা ঘুম ঘুম চোখে উঠে বসে।বিভোর বলে,

— “ছুরি হাতে নাও দ্রুত।”

ধারা ঘুমু ঘুমু চোখে পিটপিট করে তাকায়।হারিকেনের মৃদু আলোয় বিভোরের ঠোঁট নজর কেড়ে নিচ্ছে ।ধারা দু’হাতে বিভোরের গলা জড়িয়ে ধরে।ঘোর লাগা গলায় বললো,

— “তোমার ঠোঁট কেনো এতো সুন্দর।”

এরপর নিজের ঠোঁট উঁচিয়ে দেখার চেষ্টা করে।রাজ্যের আফসোস নিয়ে বললো,

— “আমি মেয়ে তবুও আমার ঠোঁট কেমন জানি।দূর।”

বিভোর ধারাকে ঝাঁকি দিয়ে বললো,

— “আবোল-তাবোল পরে বকো।এখন আসো।”

বিভোর ধারার হাতে ধরে টানে।ধারা অন্য হাতে বিভোরের শার্টের কলার ধরে বলে,

— “ঘুমাবো।তুমিও ঘুমাও।”

বিভোর ধারাকে কোলে করে বাইরে নিয়ে আসে।ধারার তন্দ্রাভাব কেটে যায়।ঝপাৎ করে নেমে পড়ে।

এক এক করে সবাই এক জোট হয়।সবার হাতে ছুরি।আনার হাতে রাইফেল।যদিও গুলি রাবারের।তা তো আর ডাকাত দল জানেনা।কিছুক্ষণ সবাই উৎ পেতে থাকে ডাকাত দলের আক্রমণ রুখার জন্য।একসময় সঞ্জয় রায় বলেন,

— “সরে গেছে ওরা।সবাই তাঁবুতে বিশ্রাম নিন।মনে হয়না আর আসবে।আমি আছি পাহারায়।”

বিভোর শার্ট খুলতে খুলতে ধারার প্রশ্নের জবাব দিল,

— “ডাকাত দল মেয়েদের ধরে নিয়ে রেপ করে।”

ধারা ছুরিটা ঘুরাতে ঘুরাতে বললো,

— “আমাকে রেপ করা সম্ভব না ওদের পক্ষে।”

বিভোর বললো,

— “তাকানোরও স্পর্ধা নেই।”

— “আমি তোমার পাওয়ারের জন্য বলিনি হা।আমার পাওয়ারের জোরে এ কথা বলসি।”

বিভোর ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়।বাঁকা হেসে বললো,

— “সিরিয়াসলি?”

— “টিটকিরি করছো?যে মেয়ে ঠান্ডায় কখনো কাঁপেনি।কম্ফর্টারের মধ্যে থেকেছে।সে মেয়ে সারারাত কুয়াশায় ভিজেছে অনেকদিন।শীতকে হার মানিয়েছে।যে মেয়ের রক্ত দেখে ঘন্টার পর ঘন্টা হুঁশ থাকতোনা।সে মেয়ে এখন রক্ত দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করা শিখে গেছে।এমন মেয়েকে জোরজবরদস্তি করার সাহস কোন মানবের আছে হা?”

কথা শেষ করে ধারা নিজের শার্টের কলার ঝাঁকি দেয়।বিভোর ধারালো ছুরি ধরে ধারার গলায়।বলে,

— “এই মানবের আছে।”

ধারা হেসে বলে,

— “তাই না?”

— “আজ্ঞে…

ধারা ডান হাতে বিভোরের হাত ধরে।এরপর কৌশলে বিভোরের হাতের ছুরি বিভোরের গলার রগে ধরে বললো,

— “রাজামশাই আজ আপনি খালি গায়ে আপনার রানীকে বুকে নিয়ে ঘুমাবেন।দিস’ইজ মাই অর্ডার।নয়তো….

বিভোর শিরদাঁড়া সোজা রেখেই ধারার কোমর এক হাতে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয়।মাঝখানে বাতাস ঢোকার জায়গাটুকু নেই।এরপর বললো,

— ” তাহলে যে নিঃশ্বাসের ঘনত্ব মাপতে হবে রানীকে।”

— “রানী এক পায়ে খাড়া।”

হাটুগেড়ে একজন আরেকজনের সাথে মিশে আছে।ধারার হাত থেকে ছুরি পড়ে যায়।বাতাসে প্রেম প্রেম গন্ধ।রাতের নিস্তব্ধতা চারিদিকে।প্রতিটি তাঁবুর মানুষ নিঃশব্দে সময় কাটাচ্ছে।কারো রা শোনা যাচ্ছেনা।বিভোর ধারা যেনো নতুন করে নতুন ভাবে সম্মোহিত হচ্ছে।ধারার চুল এক আঙ্গুলে সরিয়ে দেয় কপাল থেকে।সাথে সাথে ধারার সর্বাঙ্গে উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে।দুজন একসাথে হেসে ফেললো।ধারা চোখ নিচে নামিয়ে বললো,

— “তোমার স্পর্শ নতুন করে নতুন অনুভব ছড়িয়ে দেয়।”

বিভোর ধারার কপালে চুমু দিয়ে বললো,

— “আমার জীবনের প্রথম সত্য আমার সৃষ্টিকর্তা।দ্বিতীয় সত্য আমার মা বাবা।আর তৃতীয় সত্য আমি তোমাকে ভালবাসি ধারা।”

ধারার বুকে উতালপাতাল শুরু হয়।চারদিকে পাহাড়ি দমকা হাওয়ায় উড়ছে।হারিকেনের আলোয় নিভু নিভু ভাব ধরেছে।পাহাড়ি পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে।

চলবে…..

  • Related Posts

    বিরহ বীণার সুর [পর্ব-০৩]

    বাবার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সাহস হয় না। জানি, মায়ের সামনে দাঁড়ালে প্রশ্নের পাহাড় নিয়ে বসবে, -‘কোথায় ছিলি তুই?’ -‘এভাবে কেউ বাড়ি ছেড়ে যায়?’ -‘সংসারে তো ঠোকাঠুকি হয়ই, তাই বলে চলে…

    সেদিন ও সে [পর্ব-০৪]

    নিজের বক্তব্য টুকু শেষ করে সৌজন্যের দিকে তাকাল সৌজন্যের খালা। সৌজন্য লজ্জিত ভঙ্গিতে মাথা নিচু করে আছে। খালার কথা শুনে কিছু বলার আগেই সৌজন্যের গালে একটা শক্ত চড় পড়ে। অবাক…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    You Missed

    বিরহ বীণার সুর [পর্ব-০৩]

    বিরহ বীণার সুর [পর্ব-০৩]

    সেদিন ও সে [পর্ব-০৪]

    সেদিন ও সে [পর্ব-০৪]

    বিরহ বীণার সুর [পর্ব-০২]

    বিরহ বীণার সুর [পর্ব-০২]

     প্রাণদায়িনী [পর্ব-০২]

     প্রাণদায়িনী [পর্ব-০২]

    বিরহ বীণার সুর [পর্ব-০১]

    বিরহ বীণার সুর [পর্ব-০১]

    প্রাণদায়িনী [পর্ব-০১]

    প্রাণদায়িনী [পর্ব-০১]