মাঠের এক কোনায় দুটো পরিচিত মুখের দর্শন পেতেই তার পা থেমে গেছে। অনল এবং মাহিকে দেখা যাচ্ছে। মাহি মাথা নিচু করে আছে। লাজুক দৃষ্টি তার। ধারা একটু এগিয়ে গেল। লুকিয়ে এক কোনায় দাঁড়ালো সে। তখন ই মাহির মৃদু স্বর কানে এলো,
“অনলভাই, আমি আপনাকে বহুদিন যাবৎ পছন্দ করি, প্রতিবার আপনাকে সাদা কাগজে মুড়েই অনুভূতিগুলো জানিয়েছি। আর প্রতিবার ই প্রত্যাখান করেছেন, আপনি নিষ্ঠুরভাবে। অনেক সাহস করে তাই সরাসরি ই কথাগুলো বলতে চাই। আবেগ বলুন, ছেলেমানুষী বলুন আপনাকে আমার খুব ভালো লাগে৷ আপনাকে দেখলেই বুকের ভেতরটা কেমন জানে করে। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। এই অনুভূতির জোয়ার সামলে রাখা কষ্টকর হচ্ছে। তাই সরাসরি ই বললাম। আপনি কি আমায় একটা সুযোগ দিবে আপনার জীবনে আসার?”
মাহির কথাগুলো শান্তভাবে শুনলো অনল। তার মুখশ্রী বরাবরের মতোই কঠিন, নির্বিকার। মাহির ফর্সা মুখখানা লাল হয়ে গেছে। গোল গালে রক্ত জমেছে। চোখ নামিয়ে রেখেছে সে। কন্ঠ ও জড়ানো লাগছে। অপরদিকে ধারার মনের ভেতর এক অজানা ঘূর্নিঝড় শুরু হলো। এক অস্বস্তি অনুভূতি তাকে ঘিরে ধরলো। এই অনুভূতির উৎস তার জানা নেই। তবে মাহির উপর ক্ষীন ক্ষোভ হলো, মেয়েটা এতোকাল তাকে প্রেমকবুতর বানাতো। তাকে পিয়ন বানিয়ে চিঠি পাঠাতো। অথচ অনল ভাইকে প্রণয় নিবেদনের ব্যাপারটা চেপে গেলো। কতবার তাকে শুধালো অথচ মেয়েটা কিছুই বললো না। ধারার ভালো লাগছে না। খুব অসহনীয় অনুভূতি হচ্ছে তার, কেনো জানা নেই। উপহার দেবার ইচ্ছেটা ম’রে গেলো। চুলোয় যাক উপহার। তার অনলের উত্তর জানার আগ্রহ হচ্ছে। কিন্তু পরমূহুর্তেই অন্তরাত্মা বাধ সাধলো, সে কেনো উত্তেজিত হচ্ছে! মাহি তো প্রিন্স উইলিয়ামকে পছন্দ করে। তাকে মনের কথা বলায় দোষ কি! লুকিয়ে চোরের ন্যায় তাদের কথা শোনা কি খুব দরকার! তবুও যে মনটা আকুপাকু করছে, সব যুক্তিকে হার মানাচ্ছে অবুঝ মন। এমন অনুভূতিটা এই প্রথম হচ্ছে। অনল এখনো নির্বাক সে ঘড়ির দিকে একবার দেখেই হাতদুটো পকেটে পুরলো। ধারা আরোও ভালো করে শুনতে আরেকটু এগিয়ে আসতেই শুকনো খড় শব্দ করে উঠলো। মাহি চমকে বললো,
“ওখানে কেউ আছে হয়তো!”
“বেড়াল হতে পারে, হয়তো মালিকের কাছ থেকে পালিয়ে খাবার চুরি করতে এসেছে”
নির্লিপ্ত স্বরে বলো অনল। বেড়াল, শেষমেশ বেড়াল বললো সে ধারাকে। কথাটা কানে আসতেই মন বিষিয়ে উঠলো। অজানা কারণে সকল আগ্রহ হারিয়ে গেলো। অজানা কারণেই খুব রাগ হলো অনলের উপর। সেখানে থাকার ইচ্ছে হলো না তার। হনহন করে চলে গেলো সেখান থেকে। এর মাঝে ভুলেও গেলো প্লাবণকে উপহার দেবার কথা ছিলো। এদিকে অনল এখনো শব্দ হবার জায়গায় তাকিয়ে আছে। তার ঠোঁটের কোনায় বিচিত্র হাসি উঁকি দিলো। মাহি অধৈর্য্য কন্ঠে বললো,
“উত্তর দিবেন না, অনল ভাই?”
******
ধারা বাড়ি ফিরলো এক রাশ চিন্তা নিয়ে। কোনো মতে একটা রিক্সা ঠিক করে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে এসেছে সে। তার মস্তিষ্কে নিউরণগুলো জড়ানো লাগছে। যেনো তাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ঘরে প্রবেশ করতেই সুভাসিনী বেগম বললো,
“তুই একা কেনো? অনল কোথায়?”
“তোমার ছেলে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে”
আনমনেই কথাটা বললো ধারা। ব্যাগটা সোফায় রেখেই ধপ করে বসলো সে। জমজ বি’চ্ছু টিভি দেখছিলো সেখানে। ধারার থমথমে মুখখানা দেখে এশা একটু এগিয়ে এসে বললো,
“ধারাপু তোমার কি পেট খারাপ? নাকি কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হয়েছে?”
কথাটা শুনতেই কড়া চোখে তাকালো ধারা। তখন এশা বললো,
“না তোমার মুখটা বাবার মতো লাগছে। সকালে বাবার বাথরুম ক্লিয়ার না হলে এমন ই মুখ বাঁকিয়ে রাখে। বলো তো আশা ইসবগুলের ভুসি গুলিয়ে দিচ্ছে”
“কানের নিচে মা’র’লে মাথায় জমা সব ভূসি বেড়িয়ে যাবে। বে’য়া’দ’প কোথাকার”
বলেই হনহন করে ঘরে চলে গেলো ধারা। এশা কিছুসময় বেকুবের মতো চেয়ে রইলো। তারপর হতাশ স্বরে বললো,
“বুঝলি আশা, মানুষের ভালো করতে নেই। এ দুনিয়ায় শুভাকাঙ্ক্ষীদের কদর নেই”
“ঠিক”
আশা সহমত প্রকাশ করলো। তারপর তারা পুনরায় টিভি তেই মনোনিবেশ করলো।
ধারা রুমে পায়চারি করছে। তার চিন্তা এখনো মাঠের কোনায় অনলেই আটকে আছে। অনল ভাই কি তার বিয়ের কথাটা বলে দিয়েছে! তার ভরসা নেই, বলে দিতেই পারে। তখন মাহি তার উপর চটে যাবে, এতোবড় সত্য লুকিয়েছে ধারা। এই ব্যাপারটা ভেবে তার দুশ্চিন্তা বাড়ছে। আবার মনে হচ্ছে এমন টা তো তাও হতে পারে। এমন ও হতে পারে অনল ভাই মাহির প্রম নিবেদনে গলে গেছে। মাহি যথেষ্ট সুন্দরী। গোলগাল মুখ, ছোটখাটো ফর্সা মেয়ে। চোখগুলো কাজলকালো, গোলাপী ঠোঁট, মাজা অবধি সাপের ন্যায় বেয়ে আসা কেশ। কি মিষ্টি গায়, তার সুরেলা কন্ঠের প্রেমিক অনেক। এমন মেয়ে প্রেম নিবেদন করলে যেকোনো পুরুষ গলে যাবে। অনল ভাই ও তো পুরুষ ই। কথাটা ভাবতেই এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো ধারার। আগের চিন্তাগুলো মূহুর্তেই বাস্পায়িত হয়ে গেলো৷ নতুন চিন্তা ভর করলো মস্তিষ্কে, যদি অনল মাহির প্রেম নিবেদনে গলে যায় তবে কি হবে! অদ্ভুত বিষন্নতা ঘিরে ধরলো ধারাকে। এই বিষন্নতার কারণ সে জানে না, সত্যি জানে না_____
*****
অনল ফিরলো সন্ধ্যার পরে। অবশেষে তার ব্যস্ত দিনের অবসান হলো। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শরীর নিয়ে সে ফিরলো ঘরে। জ্যামের কারণে আজ অনেক দেরি হয়ে গেছে। জ্যামে বসে ছিলো প্রায় আধা ঘন্টা৷ বাড়ি ফেরার তাড়া তো সবাই ই। সারাদিনের সকল ব্যস্ততার ইতি টেনে ঘরে ফেরা। তাই এই সময়ে ইট পাথরের ঢাকায় যানের লাইন হয়। এটাই তো তার চিরচেনা অস্তিত্ব।
ঘরে ঢুকতেই দেখা গেলো পুরো পরিবার বসার ঘরে। মুড়ি পার্টি হচ্ছে। টিভি তে উত্তম কুমারের ছায়াছবি “মৌচাক” চলছে। এই সিনেমাটি জামাল সাহেবের অতিপ্রিয়। যখন ই টিভিতে হয় তিনি সুভাসিনীকে মুড়ি মাখতে বলেন। মুড়ি খেতে খেতে সিনেমাটা দেখেন তিনি। আজ তার সাথে রাজ্জাক, ইলিয়াস, রুবি এবং এশা-আশা ও যুক্ত হয়েছে। ইলিয়াস অনলকে দেখেই বললো,
“বাপ খাবি নাকি?”
“নাহ, তোমরাই খাও”
“তা খাবা ক্যান, তুমি হলে মাস্টারমশাই। তোমাকে দিতে হবে মন্ডামিঠাই। মুড়িমাখা তোমার মুখে রচবে না”
“তোমাদের ই ছেলে, কি করবো! জমিদার রক্ত”
স্মিত হেসে চাচ্চুকে উত্তর দিলো। তারপর সুভাসিনীকে বললো,
“মা পারলে এককাপ চা দিও। মাথা ধরেছে”
বলেই নিজ রুমে চলে গেলো সে। রুমে ঢুকতেই ধারা ছুটে এলো। সে এতোসময় বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলো। অপেক্ষা করছিলো অনলের ফেরার। বিকেল তার কাটলো বিষন্ন। ফলে অনলকে দেখতেই উৎফুল্ল স্বরে বললো,
“তুমি এসে পড়েছো? এতো দেরি হলো যে!”
ধারার ব্যাস্ততায় খানিকটা ভড়কালো অনল। অবাক স্বরে বললো,
“আমার বাড়ি ফেরা নিয়ে তো ইহজীবনে তোকে এতোটা উৎসাহিত দেখি নি। মতলব কি?”
“তুমি সবসময় মতলব খুজো কেনো? একই ঘরে থাকি, চিন্তা হতে পারে না”
“বাবা রে! আমার জন্য ধারার চিন্তা। বেশ বউদের মতো কথা শিখেছিস তো!”
বলেই হাসতে হাসতে ওয়াশরুমে চলে গেলো সে। অন্যদিকে ধারার মনটা ছটফট করছে। বারবার মাহির কথাটা জিজ্ঞেস করতে মন চাইছে। কিন্তু বিব্রতবোধ ও হচ্ছে। অনল ভাই যদি বলে, “তোকে কেনো বলবো! তুই তো এই বিয়েই মানিস না তাহলে অধিকার কিসের”
তখন লজ্জায় আর মুখ দেখাতে পারবে না। মন এবং মস্তিষ্কের এই অসহনীয় দ্বন্দে আর প্রশ্নটি করা হলো না ধারার। ফলে বিকেলের মতো রাতটিও কাটলো অস্থিরতায়______
*****
সকালের সোনালী সূর্য উদিত হবার আগেই ভাঙ্গলো ধারার ঘুম। অবশ্য ঘুম হলে তো ভাঙ্গার প্রশ্ন আসে। তার ঘুম ই হয় নি। শুধু এপাশ ওপাশ করেছে। রক্তিম হয়ে আছে চোখজোড়া। কিছুসময় সিলিং এর ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থেকেই উঠে পড়লো সে। নামায পড়ে দাঁড়ালো বারান্দায়। মৃদু রোদ কোমল ছোঁয়া দিচ্ছে বারান্দায় কোনায় রাখা শিউলি ফুলের টবটিতে। গণিতের মানু্ষের গাছের প্রতি শখটা অবাককর হলেও অনলের গাছ লাগাবার শখ আছে। বারান্দায় ছোট ছোট ফুলের টব ঝুলিয়ে রাখা৷ সকালে এই মিষ্টি গন্ধ নাকে আসলেই মনটা উৎফুল্ল হয়ে উঠে। তবে আজ তেমনটা হলো না। বরং ধারার মাথায় মাহি সংক্রান্ত প্রশ্নই ঘুরতে লাগলো৷
ভার্সিটিতে আজও অনলের সাথেই এলো ধারা। গেট থেকে বহু দূরে থেমে গেলো। তারপর একা একা এলো ভার্সিটিতে। গেট পার হতেই কৃষ্ণচূড়া গাছটির নিচে দেখা পেলো মাহির। তাকে অবসন্ন দেখালো। উদাস চোখ তাকিয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া গাছের ফুটন্ত রক্তিম ফুলের দিকে। ধারা ছুটে গেলো তার কাছে। তাকে দেখেই মন খারাপ হয়ে গেলো ধারার। চোখজোড়া ফুলে আছে, ভেজা চোখ, ঠোঁটজোড়া শুষ্ক। বিষন্নতা যেনো তাকে ঘিরেই। কিছু জিজ্ঞেস করার পূর্বেই বললো,
“আমি আর বেলতলার বাসিন্দা নই ধারা। হাল ছেড়ে দিয়েছি”
কথাটা শুনতেই বেশ অবাক হলো ধারা। তখন মাহি খুলে বললো গতকালের কাহিনী। অনল তার প্রেম নিবেদন বরাবরের মতোই প্রত্যাখ্যান করেছে। ভীষণ নিষ্ঠুরভাবে বলেছে,
“মাহি তোমাকে আমার ভালো লাগে না। তাই মরীচিকার পেছনে ছুটো না। আমি তোমাকে প্রহেলিকার মধ্যে রাখতে চাই না। ক্ষমা করবে এই প্রেম নিবেদন আমি গ্রহণ করতে পারবো না”
তার কন্ঠ ছিলো শান্ত, শীতল। বেশ নিপুন ভাবেই সে জানালো সে মাহিকে পছন্দ করে না। মাহি যখন তাকে পুনরায় শুধালো,
“কেনো? আমার কি সমস্যা?”
তখন স্মিত হেসে অনল বললো,
“এক হৃদয়ে দু নারীর স্থান হয় না”
বলেই সে প্রস্থান করলো। ধারা অবাক নয়নে চেয়ে রইলো। মাহির মুখে কথাগুলো শুনতেই মনের মাঝে জমে থাকা মেঘমেদুর কেটে গেলো। উঠলো লাল আভায় মোড়ানো সূর্য। অজানা কারণে প্রসন্নতায় ভরে উঠলো হৃদয়ের অন্তস্থল। আবার পরমূহুর্তেই মাহির ভঙ্গুর হৃদয়ের জন্য সমবেদনা জানালো। মাহিকে সান্ত্বনা দিলো। মাহি তাকে জড়িয়ে কাঁদলো বেশ কিছু সময়। তবে এসবের মাঝে একটা প্রশ্ন ও উঁকি দিলো কিশোরী ধারার মনে, জটিল প্রশ্ন। তাহলো অনল ভাই কাকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছে! প্রিন্স উইলিয়াম ও বুঝি কাউকে পছন্দ করে!
মাহির মন খারাপ ব্যাপারটা বন্ধুমহল মোটেই মানলো না। তারা সিদ্ধান্ত নিলো আজ ক্লাস বাঙ্ক দিবে। সেটাই হলো। এমন কি পড়ুয়া নীরব ও সায় নিলো। আজ তারা ক্লাস করবে না। বন্ধুমহল বাসে করে পৌছালো বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স এ। পাঁচটা টিকিট কাটলো তারা। সারাদিন হই হুল্লোড়, সিনেমা দেখা, খাওয়া দাওয়ার মাঝেই কাটলো। ফলে আবেগে ভেসে যাওয়া মাহির মনটা কিছুটা হলেও ভালো হলো। মাঝে ধারার মোবাইল বেজেছিলো ঠিক কিন্তু ধারা পাত্তা দিলো না। বন্ধুদের সাথে আনন্দ করে বাড়িতে পৌছালো তখন সন্ধ্যে সাতটা। প্রশ্নের মুখোমুখি হবে জানা তবুও সে ভয় পেলো না। তবে সে তো জানতো না, বাড়িতে নতুন চমক তার প্রতীক্ষায় আছে। যখন প্রবেশ করলো তখন ই দেখলো বসার ঘরে প্লাবণ ভাই বসে আছে। বড়মার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। প্লাবণ ভাইকে দেখতেই গতকালের উপহারের কথা মনে পড়লো৷ সেটা এখনো ব্যাগেই আছে। মাহি আর অনলের কথা ভাবতে ভাবতে উপহারের কথাই সে ভুলে গেছে। ধারাকে দেখতেই প্লাবণ জিজ্ঞেস করলো,
“কেমন আছো জলধারা?”
“এই তো ভালো, আপনি?”
“জম্পেস। আসো বসো”
ধারাও ব্যাগখানা না রেখেই বসলো। অবশ্য তার দিকে একজন কঠোর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। তবে এখন তার দৃষ্টিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করলো ধারা। প্রসন্ন চিত্তে জিজ্ঞেস করলো,
“আপনি কতো দিন পর এলেন, এখন তো আপনাকে দেখাই যায় না”
“আসলে সময় ই হয় না। আজ একটা বিশেষ কারণে এসেছি। ভালো হয়েছে তুমিও এখানে আসো”
বলেই একটা সোনালী কার্ড বের করলো ব্যাগ থেকে। সুভাসিনীকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
“আগামী শুক্রবার আপনাদের দাওয়াত আন্টি। সবাই আসবেন৷ ছোট চাচ্চু, এশা আশা সবাই। আর বিশেষ করে তুমি জলধারা। সরি ভাবী, আসবে কিন্তু আমার বিয়েতে…..
চলবে,…
- মুশফিকা রহমান মৈথি


![প্রজাপতি আমরা দুজন [পর্ব-০৭]](https://amarlekha.com/wp-content/uploads/2025/07/photo_6212761625384044921_y.jpg)
![মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি [পর্ব-০৮]](https://amarlekha.com/wp-content/uploads/2025/10/3cf51236-2d29-45c2-a963-4d58a217fde2.jpg)
![নবোঢ়া: আগুনফুলের আত্মনিবেদন [পর্ব ৫৮]](https://amarlekha.com/wp-content/uploads/2025/05/IMG_20250529_231033.jpg)
![সেদিন ও তুমি [পর্ব-০২]](https://amarlekha.com/wp-content/uploads/2025/09/a-simple-light-colored-t-shirt-and-je.jpg)
![মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি [পর্ব-০৭]](https://amarlekha.com/wp-content/uploads/2025/07/srthgerf.jpeg)